অনলাইন থেকে আর্নিং এর ৩ টি প্রধান উপায় রয়েছে।
১. প্রথম উপায় হচ্ছে নিজের কোন প্রডাক্ট বা সার্ভিস সেল করা
১.১ ফিজিক্যাল প্রডাক্ট ( যেমুন জামা কাপর, জুয়েলারি প্রডাক্ট, বিভিন্ন ধরনের এক্সেসরিস ইত্যাদি)
১.২ ভার্চুয়াল ( ই-বুক, গ্রাফিক্স, ভিডিও ইত্যাদি)
কিন্ত সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষেরই নিজস্ব কোন প্রডাক্ট বা সার্ভিস নেই তাই প্রথম উপায়ে কাজ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।
২. সেলিং এ্যাডভ্যাটাইজমেন্ট স্পেস (ওয়েবসাইট, নিউজলেটার, ব্লগ, ফ্যানপেজ ইত্যাদি।)
এই পদ্ধতিতেউ লাগবে নিজস্ব ওয়েব সাইট , ব্লগ ইত্যাদি নতুন যে কারো জন্য ব্লগ বা ওয়েব সাইট বানিয়ে তা পপুলার করে এ্যাডভ্যাটাইজমেন্ট স্পেস সেলের মাধ্যমে ইনকাম করা সময় সাপেক্ষ বিষয়।হাতে যদি সময় থাকে তাহলে এই বিষয়ে পড়াশুনা করে কাজ আরম্ভ করা যেতে পারে।
৩. অন্যের প্রডাক্ট বা সির্ভিস সেল করা ( অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং)
তিন নাম্বার পদ্ধতিটি শুরু করা তুলনামুল ভাবে সহজ কারন আপনার নিজের কোন প্রডাক্ট বা সার্ভিস না থাকলেও শুরু করতে পাবেন। তবে একটি বিষয় পরিস্কার হতে হবে , অনলাইনে ইনকামের বিষটি কোন ভাবেই অফলাইনের চেয়ে সচজ
নয়। লিগাল ভাবে ইনকামের জন্য আপনাকে হার্ডওয়ার্ক করতে হবে হোক সেটা অনলাইন বা অফলাইন।
অনলাইনে অনেক কম্পানি রয়েছে যারা তাদের প্রডাক্ট ও সার্ভিস সেল করে। যাদের প্রডাক্ট বা সার্ভিস আছে তাদের দরকার সেল। অন্যের প্রডাক্ট বা সার্ভিস সেল করে দিলে সেলের কিছু কমিসন দেয়া হয় , যে কমিসন পাওয়া যাবে তাই অ্যাফিয়েট মার্কেটিং থেকে অায়। কিভাবে আমার অ্যাফিলিয়েটর কাজ হিসাবে জয়েন করতে পারি! একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে আমরা অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রামে জয়েন করে অন্য কারো প্রডাক্ট বা সার্ভিস সেল করতে পারি। যদি কোন প্রডাক্ট সেল হয় তাহলে প্রডাক্ট ক্রিয়েটর তার পূর্বে নিধারিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি সেলের একটি পাসেনটেজ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কে দিবে।
উপরের ছবিটি দেখলে বিষয়টি পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারবেন।
জয়েন অ্যাফিলিয়েট > প্রডাক্ট নির্বাচন> প্রডাক্ট প্রমোশন> সেল প্রডাক্ট= আর্ন কমিশন।
অ্যাফিলিয়েট হবার কিছু সুবিধা
- কোন প্রডাক্ট তৈরি করতে হয়না
- সহজে শুরুকরা যায়
- বেশিরভাগ খেত্রেই ফ্রী জয়েন করা যায়
অ্যাফিলিয়েট হবার কিছু সুবিধা অসুবিধা
- প্রডাক্টের উপর কোন কন্ট্রোল থাকেনা
- যে কোন সময় প্রডাক্ট ডিসকনটিনিউ হতে পারে
পৃথীবির সবচেয়ে যায়ান্ট দুটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেট প্লেস হল ক্লিকব্যাংক ও অ্যামাজন। এই টিউটরিয়াল সিরিজে আমরা মুলত ক্লিকব্যাংক নিয়ে আলোচনা করব।
অনলাইন মাধ্যমে দির্ঘ দিনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেউ টিউটোরিয়াল লিখার বিষয়ে আমার পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা নেই বল্লেই চলে তাই বানান ভুল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তবে চেস্টা করব যত তারাতারি পারা যায় লিখার স্কিল ডেভেলপ করার। নতুন হিসেবে অ্যাফিলিয়েট শুরু কতে চাইলে এই স্ট্যাটেজি ফলো করে শুরু করলে সাকসেস হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রাথমিক ধারনা নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে যানাতে পারেন দ্রুততম সময়ে রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব।
সাইটে নতুন টিউটোরিয়াল পোস্টের নোটিফিকেসন পেতে সাইটে সাবসক্রাইব করতে পারেন বা ফ্যান পেইজে লাইক দিন। ফেসবুক গ্রুপেও যোগ দিয়ে আলচনায় অংশ নিতে পারেন। প্রশ্ন করতে পারেন আপনাদের মতামত দিতে পারেন ও আপনার স্ট্র্যাটেজি শেয়ার করতে পারেন।